ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত, বিকেল পর্যন্ত মিলছে না সূর্যের দেখা

দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত, বিকেল পর্যন্ত মিলছে না সূর্যের দেখা

পৌষ মাসের শেষ সময়ে দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা দিনাজপুর পুরোপুরি জেঁকে বসেছে শীত। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পুরো এলাকা। এর সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তীব্র শীতের কারণে গরম কাপড়ের অভাবে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষজন। পেটের তাগিদে বাহির হলেও আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত নানান রোগে।

গত -তিন - ৪ দিন ধরেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। কুয়াশার মাত্রা বেশি হওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। ভোররাত থেকে শুরু করে অনেক বেলা পর্যন্ত কুয়াশা ঝরছে। ঠিক যেন কুয়াশার বৃষ্টি হচ্ছিল। যার কারণে দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে। সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে করে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন তেমন একটা ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। সড়কে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় রোজগার কমায় বিপাকে পড়েছেন ভ্যান-রিকশাচালকরা। একইভাবে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষজন।

দিনমজুররা বলেন, ‘কয়েক দিন শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে শীতের মাত্রা অনেকটা বেড়েছে। যত দিন যাচ্ছে তত শীতের মাত্রা বাড়ছে। বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝরছে। এত পরিমাণ কুয়াশা ঝরছে যে কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত ঠিকমতো কোনও কিছু দেখা যাচ্ছে না। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও মনে হচ্ছে সন্ধ্যা লেগে গেছে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া বইছে। এতে করে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের কারণে ঘর থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। এতে করে ঠিকমতো কাজেও যেতে পারছি না। আবার পেটের তাগিদে বাহির হলেও যারা কাজে নেবে তারা না আসায় আগের মতো কাজ মিলছে না। কাজ করতে না পারায় সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের মতো মানুষদের। তার ওপর গরম কাপড়ের অভাব তো রয়েছে। সব মিলিয়ে শীতের কারণে আমাদের খুব কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।

দিনাজপুর,শীত,সূর্য
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত